গরম কাল মানেই মাথার উপর রোদের প্রখরতা। রোদের তীব্রতা এবং অতি বেগুনী সহ অনান্য ক্ষতিকর রশ্মীতে অরক্ষিত ত্বকের ...। অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান পানির ঘাটতি দেখা যায়। এই ঘাটতির জন্য ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা হারিয়ে ফেলে ফলে। ত্বকের রুক্ষভাব ভাব কাটিয়ে উঠার জন্য আমাদের কিছু জিনিস মেনে চললেই পুরো গ্রীষ্ম জুড়েই সতেজ থাকতে পারি।
প্রচুর পানি পানঃ
গ্রীষ্মে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে, যা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য দরকার। কারন অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি নির্গত হয়। তাই পর্যাপ্ত ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখার জন্য পরিমান মত পানি সেবন করা জরুরী।
পানি সমৃদ্ধ ফলমুল সেবনঃ
যে সমস্ত ফল গুলোতে পানির পরিমান বেশি যেমনঃ তরমুজ, আঙ্গুর, ব্লুবেরী, স্ট্রবেরী, সালাদ সেবনঃবেশি বেশি সালাদ সেবনের মাধ্যমে শরীরের পরিপাক তন্ত্র ভাল ভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। যেমনঃ শশা, বীট রুট, টোমাটো, মূলা গাজর ইত্যাদি।
গোলাপ জলঃপ্রতিদিন গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। এটা প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে যেমন চমৎকার তেমনি ত্বকে রাখতে ঠান্ডা এবং সতেজ
ত্বক এক্সফোলিয়েট করাঃ
সপ্তাহে একবার করে ভাল স্ক্রাব দিয়ে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করাটা ত্বকের জন্য ভাল। তবে মজার ব্যাপার হলো বাসায় বসেই খুব সহজেই স্ক্রাব বানানো সম্ভব। এস্কফোলিয়েট তৈরি করার জন্যঃ৪ থেকে ৫ টেবল চামচবেসন, একচিমটি হলুদের গুড়া, ৫ থেকে ৬ ফোটা গোলাপ জল এরসাথে দুধ অথবা টক দই মিলিয়ে পেস্ট বানাতে হবে, এটাই মুখে এবং গলায় মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই আপানার এক্সফোলিয়েশনের কাজ হয়ে যাবে।
ত্বকের জন্য শশা এবং টক দইয়ের মিশ্রণঃ
একটা শশার অর্ধেক পরিমানে নিয়ে ব্লেন্ড করে টক দই এর সাথে মিশিয়ে মুখে এবং গলায় মেখে ১৫ রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেললেই পেয়ে যাবেন।
উজ্জল এবং মসৃন ত্বক এর জন্য ম্যাস্কঃ
যে কেউ চাইলেই বাসায় বসেই মাস্ক বানাতে পারে । ২ টেবল চামচ পেপে বাটা, ১ টেবল চামচমধু, একটা ডিমের সাদা অংশ, নিয়ে সব গুলোওকে এক সাথে মিক্স করতে হবে। মিক্সারটি তৈরি হয়ে গেলেই মুখে এবং গলায় মেখে ১৫ মিনিটের জন্য রেখেদিন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিটি অনুসরন করলেই আপনি পেয়ে যাবেন মসৃন উজ্জল ত্বক।
পর্ব দুই তে আমারা গ্রীষ্মের ত্বকের যত্নের বাকি অংশ জানবো।
Comments
Leave your comment